লকডাউনের জের : শস‍্যগোলায় কৃষি কাজে বেড়েছে যন্ত্র নির্ভরতা

31st July 2020 9:18 am বর্ধমান
লকডাউনের জের : শস‍্যগোলায় কৃষি কাজে বেড়েছে যন্ত্র নির্ভরতা


নিজস্ব সংবাদদাতা ( শক্তিগড় ) : করোনা ভাইরাসের আক্রমনের জেরে মানুষের স্বাভাবিক জনজীবনে অনেক পরিবর্তন এসেছে । তেমনি পরিবর্তন এসেছে কৃষি কাজেও । সরকারী বিধি সহ বর্তমান পরিস্থিতিতে কৃষিকাজে বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রের ব‍্যবহার । হয়তো বাধ‍্য হয়েই যন্ত্রের প্রতি নির্ভরতা বেড়েছে কৃষকদের । রাজ‍্যের শস‍্যগোলা বর্ধমান জেলাতেও যন্ত্র নির্ভরতা বৃদ্ধি পাচ্ছে প্রতিনিয়ত । এবার নির্দিষ্ট সময়ের মধ‍্যে বর্ষা এলেও কৃষিকাজে পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যায় নি । করোনার জেরে লকডাউন চলছে । বন্ধ গণপরিবহণ ব‍্যবস্থাও । অনান‍্য বছর বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রেনে করে শ্রমিকরা আসা যাওয়া করতে পারতেন ধান রোয়ার জন‍্য । এছাড়াও অনান‍্য কাজের জন‍্য আসতেন ক্ষেতমজুররা । এখন যেহেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ তাই বাইরে থেকে শ্রমিক আসাও বন্ধ । বর্ধমান সদর ২ ব্লকের চাষীদের ভরসা এখন যন্ত্র । রাইস ট্রান্সপ্লানটার মেশিন ব‍্যবহার করে চলছে জমিতে ধান রোয়ার কাজ । এতে অবশ‍্য খরচ অনেকটাই কম , অল্প সময়ে বেশী জমিতে রোয়ার কাজ ও হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা । এই পদ্ধতিতে চাষ করলে বাড়িতেই ট্রে তে তৈরী হবে বীজ থেকে ধানের চারা । ট্রে তে ১৫-১৬ দিনের মধ‍্যে চারা তৈরী হয়ে যাবে । বিঘা প্রতি ১০ কেজি ধানবীজ এর প্রয়োজন হয় যেখানে হাতে রোয়াতে , সেখানে মাত্র ২ কেজি ধানবীজেই এক বিঘা জমি রোয়া হয়ে যাবে ট্রান্সপ্লানটার এর সাহায‍্যে । এক ঘন্টায় একবিঘা জমিতে ধান রোয়ার কাজ সম্পন্ন হয় এই পদ্ধতিতে । স্বাভাবিকভাবেই খরচ অনেক কম বলছেন পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকার কৃষকরা । একদিকে লকডাউন অন‍্যদিকে অর্থনৈতিক সমস‍্যা । দুই এর মাঝে পড়ে কৃষিকাজে যন্ত্র ই  " অসময়ের বন্ধু " হয়ে দেখা দিয়েছে শস‍্যগোলায় । যদিও ইতিপূর্বে কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে আয়োজিত সেমিনার , কৃষি মেলা সহ আলোচনা সভায় কৃষকদের যন্ত্রের ব‍্যবহার সম্পর্কে উৎসাহিত করা হয়েছে । কৃষিমেলা প্রাঙ্গনে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির আলাদা স্টল তৈরী করে কৃষকদের বোঝানোও হয়েছে । ব‍্যায় কম করে উৎপাদন বাড়িয়ে লাভ যাতে পান কৃষকরা সেই জন‍্য যন্ত্রের ব‍্যবহার প্রয়োজন । করোনা আবহাওয়া হয়তো সেই ব‍্যবহার কেই আরো প্রয়োজনীয় করে তুললো কৃষকদের কাছে বলছেন স্থানীয় রা । 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।